কোয়ান্টাম ব্যায়ামের নিয়মাবলী
Rules Of Quantum Exercise
Quantum Tips In Bangla
১. কোয়ান্টাম ব্যায়াম করার সময় আরামদায়ক ঢিলেঢালা পােশাক পরুন।
২. একেবারে খালি পেটে অথবা একেবারে ভরপেটে ব্যায়াম করা উচিত নয়। হালকা কিছু খেয়ে ব্যায়াম করা যায়।যেমন :
কোয়ান্টাম ব্যায়ামের নিয়মাবলী
Rules Of Quantum Exercise
Quantum Tips In Bangla
ভেজানাে কঁচা ছােলা (২/৩ টেবিল চামচ) অথবা ২/৩ টুকরাে কাঁচা পেঁপে।
![]() |
rules of quantum exercise |
৩. খুব শক্ত বা নরম জায়গায় ব্যায়াম করা উচিত নয়।কার্পেট বা কাঁথা-কম্বল বিছিয়ে তার ওপর চাদর দিয়ে ব্যায়াম করা উচিত।
৪ . পূর্ণ আহারের ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করা উচিত।
৫. আলাে-বাতাস পূর্ণ খােলা জায়গায় ব্যায়াম করা ভালাে।
৬. শীতের সময় ঘরের দরজা-জানালা খুলে বাতাস প্রবেশ করিয়ে নিয়ে ব্যায়াম করুন। এতে প্রচুর অক্সিজেন ঘরে প্রবেশ করবে।
৭. কোয়ান্টাম ব্যায়াম করার সময় কথা বলবেন না, কোনাে রকম গান-বাজনা শুনবেন না; বরং যে আসন করছেন সে আসনের উপকারিতার বিষয়গুলাে মনছবি করুন অর্থাৎ কল্পনা করুন ও বিশ্বাসের সাথে অনুভব করুন ।
৮. মেয়েদের মাসিক চলাকালে ব্যায়াম করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ।মাসিক ভালাে হওয়ার এক দিন পর ব্যায়াম শুরু করুন।
৯. ব্যায়াম শেষে ১০ মিনিট শিথিলায়ন বা শবাসন করে শরীরঠাণ্ডা করে নিয়ে গােসল করুন। কারণ ব্যায়াম করার ফলে শরীরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
তাই হঠাৎ করে যাতে গরম/ঠাণ্ডা না লাগে সেজন্যে শিথিলায়ন করে পরে গােসল করুন।
১০. প্রতিদিন সম্ভব হলে এক ঘণ্টা হাঁটুন।
১১. ব্যায়াম করার সময় টয়লেটে যাওয়ার প্রয়ােজন হলে টয়লেট সেরে | ব্যায়াম করুন। পেশাব-পায়খানা চেপে রেখে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
১২. ব্যায়ামের আগে ৫ মিনিট হলেও শবাসনে শিথিলায়ন করে মনকে স্থির করে নিয়ে ব্যায়াম শুরু করুন।
১৩. প্রতিদিন ১০/১২টি আসন করতে পারেন ।
১৪. প্রাণায়াম বা মুদ্রা খালি পেটে করাই ভালাে।
১৫. কোয়ান্টাম ব্যায়াম করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। শুধুমাত্র প্রাণায়াম ও মুদ্রায় নিয়ম অনুসারে দম নেবেন ও ছাড়বেন ।
১৬. কোনাে আসন একবারেই সঠিক ভঙ্গিমায় জোর করে করার চেষ্টা করবেন না। সহজভাবে শরীরকে ব্যায়ামের ভঙ্গিমায় যতটুকু নিতে পারেন ততটুকুই করুন। আস্তে আস্তে শরীর নমনীয় হলে ভঙ্গিমা সঠিক হবে। তা না হলে হঠাৎ করে শরীরের কোনাে জায়গায় টান পড়তে পারে। কিংবা মেরুদণ্ডে, ঘাড়ে, কোমরে টান লেগে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
তাই ধীরে ধীরে শরীরকে সঠিক ভঙ্গিমায় আনার চেষ্টা করুন।
১৭. কোয়ান্টাম ব্যায়াম যেকোনাে সময়ই করা যায়, তবে সকাল বা সন্ধ্যায় করাই ভালাে।
১৮. সন্তান সম্ভবা হলে সহজ আসন, প্রাণায়াম করা গেলেও মুদ্রা করা থেকে পুরােপুরি বিরত থাকতে হবে।
১৯. সন্তান প্রসবের পর মায়েদের যে রক্তক্ষরণ হয় সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ হলে আবার আস্তে আস্তে ব্যায়াম শুরু করা যেতে পারে।
২০. গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যায়াম করা উচিত।
২১. হাই ব্লাড প্রেসার, লাম্বার বা স্লীপড ডিস্ক, সারভাইকাল স্পন্ডিলাইটিস, হার্টের অসুখ, এনজাইনা, করােনারি থ্রম্বসিস, মায়ােকার্ডিয়াল ইনফ্রাকসন, চোখের অসুখ, যেমন : রেটিনা হ্যামারেজ ইত্যাদি রােগে। যারা ভুগছেন তারা সামনের দিকে ঝোঁকা (forward bending) ব্যায়াম এবং শীর্ষাসন একেবারেই করবেন না।
২২. পেপটিক আলসারের (গ্যাসট্রিক ও ডিয়ােডেনাল) রােগীরা পেটের ওপর চাপ লাগে এমন ব্যায়াম করবেন না। যেমন পশ্চিমােত্তানাসন, জানুশিরাসন ইত্যাদি।
কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্য চর্চা