বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮

বজ্রাসন এর পদ্ধতি এবং উপকারিতা ( Methods and Benefits of Vajrasana )

                                    জাজেন বা বজ্রাসন


পদ্ধতি : প্রথমে দুই হাঁটু ভেঙে দুপায়ের পাতা পেছন দিকে চিৎ হয়ে মাটির সাথে লেগে থাকবে। মেরুদণ্ড সােজা রেখে নিতম্ব দুপায়ের গােড়ালির ওপর রেখে বসুন, যেন দুহাঁটু জোড়া লেগে থাকে। এবার দুহাত টানটান করে হাতের পাতা এবং আঙুলগুলাে সােজা রেখে হাঁটুর ওপর উপুড় করে রাখুন (ছবির মতাে করে)। এভাবে যতক্ষণ পারেন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে বসে। থাকুন। প্রথম দিকে পায়ে টান।

বজ্রাসন : হাব অনুভব করতে পারেন। বেশি চাপ বা ব্যথা অনুভব করলে পা সােজা করে একটু বিরতি দিন। তারপর আবার পা ভাজ করে আসনে বসুন। যখন সহজে করতে পারবেন তখন ইচ্ছে করলে ১০ থেকে ৩০ মিনিট আপনি জাজেন বা বজ্রাসনে বসে থাকতে পারেন।

উপকারিতা ১. হাঁটুতে ইউরিক এসিড জমে হাঁটু ও ছােট ছােট অস্থি সন্ধিস্থলে বাতজনিত কোনাে ব্যথা থাকলে নিয়মিত জাজেন বা বজ্রাসনে তা দূর হয়ে পা-কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দুই বেলা খাবারের পরপরই জাজেন বা বজ্রাসনে বসলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। 

৩. বজ্রাসনে বসে প্রতিদিন ১০০ বার চুল ব্রাশ করলে সহজে চুল পাকে না এবং চুল পড়াও কমে যায়। ৪. দেহের নিচের অংশ সুগঠিত করতে জাজেন বা বজ্ৰাসন খুবই সহায়ক। 

৫. এছাড়া রাতে খাবারের পর বজ্রাসনের অভ্যেস করলে হজমশক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে সুনিদ্রা আসতে সাহায্য করে।

বি.দ্র.: মনে রাখতে হবে কোনাে আসনই জোর করে একবারে সঠিক ভঙ্গিমায় করার চেষ্টা করা ঠিক নয়। ধীরে ধীরে সঠিক ভঙ্গিমায় নিয়ে আসতে হবে।


কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্য চর্চা

Disqus Comments